বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।”
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার স্বাধীনতা চত্বরে হিন্দু সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার উদ্যোগে সনাতন হিন্দুদের সম্মানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর যাঁরা দেশ চালিয়েছেন, তাঁরা সবাই হিন্দুদের ব্যবহার করেছেন শুধুমাত্র নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। এবার হিন্দুদের ভাগ্যোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজন ইসলামী সরকার।”
তিনি আরও বলেন, “যারা দাড়িপাল্লার জোয়ার দেখে হিন্দুদের ভয়-হুমকি দিচ্ছে, তাদের হুমকিতে এবার হিন্দুরা ভয় পাবে না। হিন্দুদের কেউ বাধা দিলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যারা ৫৪ বছর দেশ চালিয়েছে, তারা মাস্তান, দখলদার ও চাঁদাবাজ; তারা সরকারি সংস্থাগুলো ব্যবহার করে হিন্দুদের শোষণ করেছে। জামায়াত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের দাফন করা হবে।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা সেই পরিবর্তন আনতে চাই। লাঙলের শাসন দেখেছি, ধানের শীষের শাসন দেখেছি, নৌকার শাসনও দেখেছি। এখন একটাই দল বাকী আছে—জামায়াতের দাড়িপাল্লা। দেড় হাজার শহিদ ও ৪০ হাজার আহতের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে চব্বিশের পরিবর্তনের বার্তা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগরসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা দিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও সেই বার্তা দেশবাসী দেখাবে ইনশাআল্লাহ।”
উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মণ্ডলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, প্রমত গাইন, শোভনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সহ-সভাপতি ডা. হরিদাস মণ্ডল, কানাই লাল কর্মকার, প্রভাষক প্রশান্ত কুমার মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম কুমার মণ্ডল, পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ সরদার, মাগুরখালী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুজিৎ কুমার সরকার, ডুমুরিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আপোষ সিংহ, ধামালিয়া ইউনিয়নের সভাপতি গোবিন্দ কুণ্ডু, রুদাঘয়া ইউনিয়নের সভাপতি বিপ্লব সরকার, রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার, খর্ণিয়া ইউনিয়নের সভাপতি নারায়ণ রাহা, মাগুরঘোনা ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বনাথ দাস, সাহস ইউনিয়নের সভাপতি তন্ময় মণ্ডল, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি নিরঞ্জন রায়, রংপুর ইউনিয়নের সভাপতি তরুণ কুমার মণ্ডল, প্রিয়ঙ্কা মণ্ডল, মাগুরখালী ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার, আটলিয়া ইউনিয়নের সভাপতি অনিমেষ মণ্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মনোরঞ্জন মণ্ডল, শরাফপুর ইউনিয়নের সভাপতি গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস, শোভনা ইউনিয়নের সভাপতি স্বদেশ হালদার এবং ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সভাপতি অরুণ কুমার আচার্য প্রমুখ।
পরে এক বিশাল গণমিছিল ডুমুরিয়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসএস/আরএন