ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুই দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা সমাবেশ পালন করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাতনি এডভোকেট নূরতাজ আরা ঐশীসহ শত শত বস্তিবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহিম।
তিনি বলেন, আগামী ০৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে ০৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ভূমি উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করা হবে। এরপরও দাবি না মানা হলে ধারাবাহিক ভাবে ভূমি সচিব, জেলা প্রশাসক ঢাকা, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকদের বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হবে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীদের দাবি দুটি হলো- রাজধানীর বিজয় স্মরণীস্থ কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ ও মিরপুর ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পটি ফিরিয়ে দেয়া।
সমাবেশে আব্দুর রহিম বলেন, আমরা দুটি দাবিতে টানা ২০ দিন যাবৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু সরকার কোনো সমাধান করছে না। সচিবালয়ের গেটে প্রতীকী অনশন করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি করতে গেলে সেখানেও পুলিশ বাধা দিয়েছে। কাফনের কাপড় পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছি। কলমিলতা বাজারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।
তিনি বলেন, আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামেনে সমাবেশ পালন করলাম। এরপরও সরকারের টনক নড়ছে না। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই- আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। আমাদের কোনো ক্ষতি হলে এর সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে। অবিলম্বে আমাদের দাবি না মেনে নিলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
আব্দুর রহিম বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের কাছে বার বার দাবি দুটির সমাধান চেয়েও সমাধান পাইনি। এক বছর অতিবাহিত হলেও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে না। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। উল্টো পুলিশ দিয়ে আমাদের আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। আমাদের আন্দোলনে বাধা দিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না। বরং এতে আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান হবে। যত বাঁধাই দেয়া হোক না কেন, আমাদের আন্দোলন চলবেই। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকবো, প্রয়োজনে জীবন দেব, তবু রাজপথ থেকে পিছপা হব না।
ডব্লিউকে/এমএ