প্রিমিয়ার লিগের ২০২৫-২৬ মৌসুমের শুরুতেই বোর্নমাউথকে ৪-২ গোলে হারালো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। শুক্রবার দিবাগত রাতে অ্যানফিল্ডে আর্নে স্লটের লিভারপুল দ্বিগুন লিড নিয়েও স্বস্তি উড়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে।
তবে পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা তারা ভালো ভাবেই উড়িয়ে দিয়েছে। ২-২ গোলের সমতা ভেঙেছে আরও দুটি গোল করে। ৪-২ গোলের জয়ে লিভারপুলের পক্ষে গোল করেন অভিষিক্ত হুগো একিতিকে, কোডি গাকপো, ফেদরিকো চিয়েসা ও মোহামেদ সালাহ। বিপরীতে বোর্নমাউথের দুটি গোলই সেমেনিও করেছেন।
শুরুতে পুরো অ্যানফিল্ড স্মরণ করেছে এক মাস আগে স্পেনে গাড়ি দুর্ঘটনায় ছোট ভাইসহ নিহত লিভারপুল তারকা জোতাকে। এরপর রেফারির বাঁশি বাজানোর মিনিট চারেক পর অলরেডদের সামনে প্রথম সুযোগটা আসে। তবে সালাহ’র জোরালো শট ব্যর্থ হয় বোর্নমাউথ গোলরক্ষকের বাধায়। এরপর কর্নানের ভার্জিল ফন ডাইকের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। মাঝে বিপত্তি বাধে দর্শক কারও বর্ণবাদী আচরণে। ওই সময় কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বোর্নমাউথের ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার সেমেনিওকে উদ্দেশ্য করে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উভয় অধিনায়ক ও কোচরা কথা বলতে থাকেন।
এরপর ম্যাচের ডেডলক ভাঙা গোল আসে ৩৭তম মিনিটে। লিভারপুলকে এগিয়ে দেন অভিষিক্ত একিতিকে। অ্যালেক্সিস ম্যাক-আলিস্টারের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সে ঢুকে ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড শট নেন। গোলরক্ষক একপাশে পড়ে গিয়ে দর্শক হয়ে দেখেছেন সেই গোল। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে চতুর্থ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। এবার একিটিকে পাস বাড়ান গাকপোকে। ডাচ ফরোয়ার্ড ডিফেন্ডারের বাধা টপকে নিচ শটে লক্ষ্যভেদ করেছেন। মিনিট দুয়েক পর ম্যাক-অ্যালিস্টারের শট ওপর দিয়ে পাঠিয়ে গোল ঠেকান বোর্নমাউথ গোলরক্ষক।
বর্ণবাদী আচরণে তাতিয়ে দেওয়া সেমিনিও সতীর্থের বক্সে বাড়ানো বল নিয়ে ৬৪ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান। তার জোড়া গোলে বোর্নমাউথ সমতায় ফেরে ৭৬ মিনিটে। ২৫ বছর বয়সী এই ঘানার ফুটবলার এবার জোরালো শট নেন বক্সের বাইরে থেকে। ফ্লোরিয়ান ভির্টজের বদলি নেমে মিনিট ছয়েকের (৮৮) মাথায় লিভারপুলকে আবারও লিড পাইয়ে দেন চিয়েসা, বক্সের ভেতর ঢুকে তিনি ভলিতে জাল কাঁপান। শেষ পেরেকটি ঠোকেন সালাহ। সতীর্থের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে শটে জালে পাঠান বল।
প্রিমিয়ার লিগে যৌথ ভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোল করলেন সালাহ। তালিকায় ৩ নম্বরে থাকা অ্যান্ড্রু কোলও তার সমান ১৮৭টি গোল করেছেন। তাদের সামনে আছেন অ্যালান শিয়েরার (২৬০), হ্যারি কেইন (২১৩) ও ওয়েইন রুনি (২০৮)। এছাড়া, প্রিমিয়ার লিগে দলের প্রথম ম্যাচে মিশরীয় ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১০টি। এদিক থেকে অবশ্য তিনিই সবার শীর্ষে।
এমএ