Thursday | 23 October 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
English | Thursday | 23 October 2025 | Epaper
BREAKING: ১৭৯ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের      পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: আইন উপদেষ্টা      শেখ হাসিনাকে শাস্তি না দিলে শহীদ-আহতদের প্রতি অবিচার হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল      সাইফ ও সৌম্যর রেকর্ড জুটিতে ২৯৭ রানের লক্ষ‍্য দিল বাংলাদেশ      দেশকে এগিয়ে নিতে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল      টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ      সহজেই জয় পেল অস্ট্রেলিয়া      

হাজীগঞ্জে আড়াই কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশা

Published : Monday, 11 August, 2025 at 9:09 PM  Count : 153

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া থেকে কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটারের গ্রামীণ রাস্তারটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। জন্মলগ্ন থেকে পাকাকরণ ও দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় ভাঙা সড়ক, খানাখন্দ, কাদা ও জলাবদ্ধতা জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দ আর কাঁদায় যান চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এই দুর্ভোগ আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। বৃষ্টি হলেই সৃষ্ট হয় জলাবদ্ধতা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য বারবার তাগাদা দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় ও এলাকাবাসীর।

এ পথে চলাচলকারী বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া ও ফুলছোঁয়া এবং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সিদলা, কর্দি সিদলা ও নওহাটাসহ পাঁচ গ্রামের একাংশের কয়েক হাজার মানুষ। বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে নেন।

সরেজিমন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের খলাপাড়া ব্রীজ থেকে কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার বিস্তৃত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ, কাঁদা ও জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে সিদলা অংশে পায়ে হেঁটে চলা দ্বায়।

এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুলপড়ুয়া, কৃষক, দিনমজুর থেকে শুরু করে হাজারো মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু রাস্তাটির এ দুরবস্থা যান চলাচলকে প্রায় অচল করে তুলেছে। ভ্যান, অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরা কোনোভাবে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুকনো মৌসুমেও রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী থাকে। যানবাহনের যাতায়াত ব্যাহত হওয়ায় বিকল্প রুটে যেতে হয়, এতে সময় ও খরচ দুটিই বাড়ছে। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বারবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কাজ হচ্ছে না। তারা দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন।

এ সময় সত্তরোর্ধ্ব বয়সি ফুলছোঁয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম বেপারী জানান, রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে ভরা। এরমধ্যে বর্ষার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কাঁদা ও জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। অবস্থা এমন যে, বৃষ্টি হলে হেঁটে চলারও সুযোগ থাকেনা। বিকল্প না থাকায় অবর্ণনীয় ভোগান্তি নিয়ে এ সড়ক দিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয়।

দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া সিদলা গ্রামের শিক্ষার্থী নাদিয়া আক্তার জানান, বর্ষায় কাদায় পিচ্ছিল ও খানাখন্দের কারণে সিএনজি, অটোরিকশা চলাচল করলেও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এ্যাম্বুলেন্স চালকেরা এ রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। এলাকার শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও রোগীদের নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

খলাপাড়া গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব আব্দুল আজিজ জানান, মৃত্যুর আগে রাস্তাটি পাকা দেখে যেতে চাই। কারণ, হিসেবে তিনি বলেন, আমরা যে কস্ট পাচ্ছি, এমন কস্ট যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম না পায়।

খলাপাড়ার দোকানী আলমগীর হোসেন ও সিদলা গ্রামের জহির হোসেন জানান, রাস্তাটি নিজ উদ্যোগে সংস্কার ও টাকা তোলার ব্যবস্থা এবং সরকারিভাবে পাকাকরণের জন্য কথা বলেছি। কিন্তু পরে আর টাকা তোলা হয়নি।

এ বিষয়ে বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন বলেন, ব্যক্তিগত ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে প্রায় সময় খানাখন্দ ভরাট করে দেই। এ বছর ব্রীকফিল্ড (ইটভাটা) থেকে ভাঙ্গা ইট ও সুরকি পাওয়াটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। অর্থ্যাৎ সময় মতো পাচ্ছি না। তাই, খানাখন্দ ভরাট করতে একটু দেরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই রাস্তাটিসহ ইউনিয়নে একাধিক কাঁচা রাস্তা রয়েছে। যা পাকাকরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইঞ্জিনিয়ার অফিসে তালিকা দেওয়া আছে। আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, বরাদ্দ এলেই কাজ হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক বলেন, বর্তমানে যেসব রাস্তা বিবিজির তালিকা রয়েছে, সেসব রাস্তা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। আর এই রাস্তাটির আইডি নম্বর আছে, তবে বিবিজির তালিকায় নেই। ভবিষ্যতে বিবিজির তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী এবং পাকাকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসআর


LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close