সরকারের মদদে রাজনৈতিক দল গঠনের অভিযোগের প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, ‘কিংস পার্টি’ কারা—তা নতুন করে বলার কিছু নেই, সবাই জানে।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “এটা আর বলার কিছু নেই। সবাই জানে এনসিপি হচ্ছে সেই কিংস পার্টি। কারণ তাদের একাধিক নেতা সরকারের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন, আবার কেউ কেউ উপদেষ্টা পদ ছেড়ে ওই দলে যোগ দিয়েছেন।”
প্রতিবেদনে টিআইবি বলেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক দল গঠন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তবে এই রাজনৈতিক শক্তি যেভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তাতে জনআস্থা তৈরি হয়নি। বরং অর্থের উৎস নিয়ে অস্বচ্ছতা, দখল-চাঁদাবাজির মতো সংস্কৃতি ধারণ করে তারা আত্মঘাতী পথে হাঁটছে।
টিআইবির মতে, নির্বাচনের রোডম্যাপ স্পষ্ট না থাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “এখন একটি রোডম্যাপ এসেছে, তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা যে আর হবে না—এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কয়েকটি দলের চাপে যেভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন নীতির ঝুঁকি তৈরি করবে। যদিও বিচার, নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, বাস্তবে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তারা। প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থায় ঘাটতির কারণে সুশাসনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
টিআইবির মতে, দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের আশাবাদ থাকলেও এখন পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
এসআর