চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ফারজানা আক্তার প্রিয়া (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রিয়া। তবে তার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি ওই বাড়ির সৌদিআরব প্রবাসী আল-আমিন বেপারীর স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন গ্রামে। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে পুলিশ ফারজানা আক্তার প্রিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ৭/৮ বছর পূর্বে আল-আমিন বেপারী ও ফারজানা আক্তার প্রিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে তাদের কোন সন্তান নেই। গত ৮/১০ দিন পূর্বে আল-আমিন সৌদিআরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। স্বামী আল-আমিনের পরকিয়ার অভিযোগে স্ত্রী প্রিয়ার সাথে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ ও পারিবারিক কলহ দেখা দিতো।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতেও তাদের ঝগড়া হয় এবং সবশেষ রাত দুইটার দিকে প্রিয়া তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে জানায়, সকালে (রোববার) যেন তার বাবা স্বামীর বাড়িতে আসে। এরপর থেকেই তাদের পরিবারের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পান প্রিয়ার বাবার বাড়ির লোকজন। কিন্তু সকাল ৯টায় তারা প্রিয়ার ফাঁস দেওয়ার খবর জানতে পারেন।
খবর পেয়ে তার বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা ফুলছোঁয়া আসলে প্রিয়ার স্বামীর বাড়ির লোকজন তাদেরকে জানায়, প্রিয়া স্টোক করে মারা গেছেন। কিন্তু প্রিয়ার গলায় কালো দাগ দেখে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন। ওই সময়ে স্বামী আল-আমিনকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তাদের অভিযোগ, প্রিয়াকে হত্যা করে আল-আমিন পালিয়েছে।
এসময় প্রিয়ার বাবার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে আরো জানান, প্রিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা ওই বাড়িতে আসলে তাদেরকে মারধর করতে উদ্যত হন এবং তাদের সাথে খারাপ আচরন করেন আল-আমিনের পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় তারা প্রিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে ন্যায়-বিচার প্রার্থনা করেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মারা যাওয়ার প্রিয়ার শশুরের পরিবারের লোকজন জানান, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহের জেরে প্রিয়া গলায় তার ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, প্রিয়ার মরদেহ উদ্ধারপূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএইচইউ/এসআর