মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে সরকারিভাবে নির্মিত মডেল মসজিদে ২৩ মে ২০২৫ লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেম নিয়োগ করা হয়। অনিয়ম করে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে নিয়োগটি বাতিল করার জন্য মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কমলগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির কয়েকজন নেতাসহ এলাকাবাসী। তবে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নিয়োগিটি বিধি মেতাবেক স্বচ্ছভাবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়েছে বলে জানান।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবরে কমলগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র আহ্বায়ক মো. সোয়েব আহমদ ও কমলগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সারোয়ার শুকরানা নান্নাসহ শিক্ষক, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার সমন্বয়ে ২২ জনের স্বাক্ষরিত আবেদনে জানা যায়, উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিচালনা নীতিমালা, ২০২১ এর ৩(ক) এর ৭ এর ধারা অনুযায়ী ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খতিব নিয়োগ করা হয়নি।
নীতিমালা অনুযায়ী সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ব্যক্তি মসজিদ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও এ মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী এবং ৩ (ক) এর ১১ এর জমিদাতার প্রতিনিধি কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা। এ নিয়োগ কমিটিতে স্থায়ী মুসল্লী ও বা জমিদাতার প্রতিনিধি না থাকায় নিয়োগটিতে অনিয়ম হয়েছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের (জামায়াতে ইসলামী) প্রভাবে এ নিয়োগ হয়েছে। তাই এ নিয়োগ বাতিল করে পূণরায় নিয়োগ দেওয়ার আবেদন করা হয়।
আবেদনকারী কমলগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র আহ্বায়ক মো. সোয়েব আহমদ ও কমলগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সারোয়ার শুকরানা নান্না এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘মডেল মসজিদ এলাকার স্থায়ী মুসল্লী ও জমি দাতার প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবে এ নিয়োগ হয়েছে। তাই এ নিয়োগ বাতিল করে বিধি মোতাবেক সবার অংশ গ্রহণে কমিটি করে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে। আগের নিয়োগের প্রতি এলাকাবাসীও বিক্ষুব্ধ বলে তারা জানান। এ জন্য তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন পাঠিয়েছেন।
জামায়োতে ইসলামী বাংলাদেশের কমলগঞ্জ উপজেলা শিাখার আমীর মো. মাসুক মিয়া বলেন, ‘বিধি মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন স্বচ্ছভাবে এ নিয়োগ দিয়েছেন। এখানে তাদের কোন প্রভাব ছিল না। এ অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলেও তিনি দাবী করেন।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, ‘বিধিমালা অনুযায়ী মডেল মসজিদ ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খতিব নিয়োগ করা হয়। যারা জমিদাতা হিসেবে এখন দাবী করছেন তার পক্ষে কোন প্রমাণ তারা দিতে পারেননি। তিনি মনে করেন, যেহেতু মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন হয়েছে এখন তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।’
এসএস/এসআর