মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করেছে, তারা আবারও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। তবে এবার থেকে সব আবেদনকারীকে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের (সোশ্যাল মিডিয়া) অ্যাকাউন্ট প্রকাশ্যে রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যালোচনা করে দেখতে হবে—তাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক মনোভাব আছে কি না, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান বা দেশটির প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতির প্রতি।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনার আওতায় পড়বে এফ ভিসা, যা মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। এম ভিসা ও জেডি ভিসাও (যথাক্রমে কারিগরি শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য) এই নির্দেশনার আওতায় আসবে।
যেসব আবেদনকারী তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রোফাইল ‘প্রাইভেট’ রাখবেন, তাদের বিষয়ে সন্দেহ করা হতে পারে যে, তারা গোপনে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “মার্কিন নাগরিকদের প্রত্যাশা হলো, তাদের সরকার দেশকে নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিদিন সেটাই করছে।”
ভিসা কর্মকর্তাদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করেন, যারা ঘোষিত বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়, তাদের সহায়তা করে বা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে; কিংবা যারা অবৈধভাবে ইহুদি-বিরোধী হয়রানি বা সহিংসতায় জড়িত।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্প প্রশাসনের, যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর আরোপিত কঠোর নজরদারির অংশ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অতিমাত্রায় বামপন্থি হিসেবে বিবেচনা করেন এবং অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ চলাকালে এসব বিশ্ববিদ্যালয় ইহুদি-বিরোধিতার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
ট্রাম্পের এই কঠোর অভিযানের অংশ হিসেবে প্রশাসন শত শত কোটি ডলারের সরকারি অর্থ সহায়তা স্থগিত করেছে, শিক্ষার্থীদের বিতাড়নের চেষ্টা করেছে এবং অনেকের ভিসা বাতিল করেছে। তবে এসব উদ্যোগের অনেকটাই মার্কিন আদালত আটকে দিয়েছে।
আরএন