রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) এলাকার ৪০টি মৌজায় ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় আকাশপথে চিত্রায়ন শেষে ৬৪টি পিলার স্থাপন করে মাঠপর্যায়ের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জরিপ শুরুর আগে প্রতিটি মৌজায় স্থানীয়ভাবে প্রচারণা চালানো হবে। সরকারি প্রচারণার পাশাপাশি রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এ প্রচারণায় যুক্ত থাকবে।
প্রকল্পের প্রথম ধাপে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে জরিপ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাজশাহীতে এ কার্যক্রমকে হয়রানিমুক্ত ও জনবান্ধব করতে গতকাল বুধবার উন্নয়ন সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহিনুর রহমান এবং সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে।
সভায় উন্নয়নকর্মীরা সাধারণ মানুষকে তথ্য প্রদান, জটিলতা নিরসন এবং হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী মুস্তাফিজুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, রুলফাও নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন, আপস নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার পল্টু, ‘দিনের আলো’ হিজড়া উন্নয়ন সংস্থার মোহনা, বস্তি উন্নয়ন কর্মসংস্থার হাসিনুর রহমান এবং পরিবর্তন-এর পরিচালক রাশেদ রিপন।
জানা গেছে, ৪০টি মৌজার মধ্যে ৩৮টি রাসিকের আওতায় এবং দুটি মৌজা পবা উপজেলার অন্তর্গত হলেও জরিপ কার্যক্রমে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১২ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এয়ারক্রাফট সার্ভে পরিচালিত হবে।
সরকারি উদ্যোগে মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট মৌজায় লিফলেট বিতরণ এবং প্রচারণা চালানো হচ্ছে। জমির মালিকদের সীমানা চিহ্নিত করে প্রস্তুত রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাগুলোও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৫ জুন এএলআরডি-এর উদ্যোগে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
জরিপ চলবে যে ৪০টি মৌজায়
হড়গ্রাম, গোয়ালপাড়া, হারুপুর, নবিনগর, মহিষবাথান, মোল্লাপাড়া, লক্ষ্মীপুর, হেলেনাবাদ, চন্ডিপুর, কেশবপুর, শ্রীরামপুর, কাজিহাটা, দরগাপাড়া, বোয়ালিয়া, বহরমপুর, তেরখাদিয়া, সপুরা, কয়েরদাড়া, পবা, বড়বনগ্রাম, ছোটবনগ্রাম, সিরোইল, সাগরপাড়া, রামপুর, আরজি সিরোইল, তাঁতিপাড়া, কাজলা, ভদ্রা, জামালপুর, মতিহার, কেউগাছি, মেহেরচন্ডি, বুধপাড়া, মির্জাপুর, ধরমপুর, খোঁজাপুর, ডাঁশমারি, সাতবাড়িয়া, রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ও রামচন্দ্রপুর উত্তর।
এফএ/এসআর