জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবৈধভাবে মজুদ করা ৫৬ বস্তা ভিজিএফ চাল উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে সোমবার (২ জুন) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) রাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা রেলক্রসিং সংলগ্ন নাজমুল মিয়ার গুদাম থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—ভাটারা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আশিক মিয়া, বারইপটল গ্রামের শাওয়ান আলীর ছেলে মো. শান্ত এবং মহাদান ইউনিয়নের সানাকইর গ্রামের জয়েন উদ্দিনের ছেলে রায়হান মিয়া।
সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সাদেক আলী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা রিছিলের নেতৃত্বে ভাটারা রেলক্রসিং এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় নাজমুল মিয়ার ভাড়াটিয়া গুদাম থেকে দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের ৫৬ বস্তায় দুই হাজার ৮০০ কেজি চাল ইজিবাইকযোগে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরিয়ে নেওয়ার সময় চালগুলো জব্দ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ খানের অবৈধ হস্তক্ষেপে সম্প্রতি ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম চলছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি ও ভিজিএফ চাল তার অনুসারীরা কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে লুটপাট করে নিচ্ছে। অধিকাংশ চাল বাইরের বিভিন্ন গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করায় প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা রিছিল বলেন, “সরকারি চাল বিতরণে অনিয়ম প্রতিরোধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যেখানেই অবৈধ মজুদের খবর পাওয়া যাবে, সেখানেই অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, “ভাটারায় যৌথবাহিনীর অভিযানে চাল উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আটককৃত তিনজনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
জেজে/আরএন