জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিদ্যুতের সাবস্টেশনের কন্ট্রোল রুমের গাফিলতিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিপুল মিয়া (৩০) নামে এক ইলেক্ট্রিসিয়ানের প্রাণহানি ঘটেছে। একই ঘটনায় দুইজন ও জনতার মারধরে আরও একজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল ৫টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
নিহত বিপুল বাউসি পঞ্চপীর এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে। তিনি ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিদ্যুতের কাজ করতেন।
আহতরা হলেন- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়োগকৃত ইলেক্ট্রিসিয়ান শেরপুর সদরের ৬নং চর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোতালেব (৪০) ও আব্দুল গফুরের ছেলে বাদল (৩৫) এবং বিক্ষুব্ধ জনতার মারধরে আহত নিরাপত্তা প্রহরী রাজু আহম্মেদ (২৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝড়বৃষ্টিতে পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়লে সেখানে কাজ করতে যান তিনজন ইলেক্ট্রিসিয়ান। পাশাপাশি লাইনে পিডিবির তার থাকায় সেখানে সচল ছিল ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক সংযোগ। এসময় হঠাৎ বৈদ্যুতিক সচল তারে তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনাটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের গাফলতির অভিযোগে কামরাবাদ এলাকার জোনাল অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এব্যাপারে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন খান মুঠোফোনে বলেন, "ঝড়ে তার পড়ে গেলে সেখানে তিনজন কাজ করতে যান। পল্লী বিদ্যুতের তারের ওপর পিডিবির তার ছিল। যেহেতু আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল, পিডিবির সচল লাইনেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।"
তিনি অভিযোগ করেন, "বিক্ষুব্ধ লোকজন বিনা কারণেই আমাদের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে একজন নিহত ও দুইজন আহতের খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর নেয়। এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম তার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জানায়। সেখানেও পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেডজেড/এসআর