মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত তথ্য দিয়ে প্রেস রিলিজ করে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করায় আটাব মহাসচিবকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। আটাব কার্যনির্বাহী পরিষদের পদত্যাগ করা সদস্য সবুজ মুন্সী আটাব মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ্কে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও তথ্য গোপন করে প্রেস রিলিজ দিয়ে গণমাধ্যগুলোকে বিভ্রান্ত করে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তার সুনাম নষ্ট করার কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
সবুজ মুন্সীর পক্ষে এ্যাডভোকেট মো. সেলিম মিয়া এই লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। তিনি ওই নোটিশে উল্লেখ করেন- ‘আমার মোয়াক্কেল কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত হইয়া এবং তাহার বর্ণনা মতে আপনাকে জানানো যাইতেছে যে, আমার মোয়াক্কেল একজন আইন মান্যকারী এবং বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী বটে। তিনি এসোসিয়েশন অব ট্রাভেলসএজেন্টস অব বাংলাদেশ ,আটাব এর সম্মানিত সদস্য এবং ২ বার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
গত ২৪ এপ্রিল আটাব কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্যদের কর্তৃক অভিযোগ দায়ের হওয়ায় তিনি বিব্রত বৌধ করায় পদত্যাগ করেন। ২৬ এপ্রিল কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় তার পদত্যাগ পত্র গৃহিত হয় মর্মে আপনি পত্র মারফত তাকে অবহিত করেন। একই দিনে আপনি নোটিশ গ্রহীতা আটাবের পক্ষে একটি প্রেস রিলিজ দেন। যেখানে আপনি তার পদত্যাগের বিষয়টি গোপন রেখে আপনারা অব্যাহতি দিয়েছেন মর্মে বুঝানোর চেষ্টা করেন, যাতে গণ মাধ্যমগুলো বিভ্রান্ত হয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করেছে, আপনি প্রেস রিলিজে উল্লেখ করেছেন যে, আটাব সদস্য জনাব সবুজ মুন্সী সরকারের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি কর্তৃক টিকেট সিন্ডিকেট, নামহীন টিকেট বুকিং ও মজুতদারী, কৃত্রিম সংকট তৈরি ও চড়া দামে টিকেট বিক্রয়ের অভিযোগে লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু তদন্ত কমিটির চিঠিতে সিন্ডিকেট, মজুতদার, কালোবাজারী শব্দগুলো উল্লেখ নাই। আপনি বাড়তি কিছু নেতিবাচক শব্দ যুক্ত করে আমার মোয়াক্কেলের সম্মানহানি, ব্যবসায়ীক সুনাম নষ্ট করেছেন এবং চরমভাবে ব্যবসায়ীক ক্ষতি সাধন করেছেন। আপনি আরো উল্লেখ করেছেন আমার মোয়াক্কেল আটাব কার্যনির্বাহী সদস্য হওয়ার দরুন কমিটির কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল। কিন্তু আমার মোয়াক্কেল কারো কাছে লিখিত কিংবা মৌখিক সহযোগিতা চাননি। আমার মোয়াক্কেল এমন কোনো অপরাধ করেননি যার জন্য আটাব সভাপতি, মহাসচিব, কিংবা অন্য কারো কাছে সহযোগিতা চাইতে হবে। অন্যদিকে বিষয়টি যেহেতু সরকারের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির নিকট বিচারাধীন রয়েছে আপনার এ বিষয়ে প্রেস রিলিজ এর মাধ্যমে মিথ্যাচার করা আইন সংগত নয়। আপনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মোয়াক্কেলের ক্ষতিসাধনের জন্য সঠিক তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও মানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে প্রেস রিলিজ করে আমার মোয়াক্কেলের সম্মানহানি, ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট ও ব্যবসায়ীক ক্ষতিসাধন করায় কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না নোটিশ প্রাপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো।’
লিগ্যাল নোটিশ বলা হয়েছে, ‘আপনি নোটিশ গ্রাপ্তির পর আমার মোয়াক্কেলকে অন্যায় ও বে-আইনিভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়ীক ক্ষতিসাধন করেছেন তা আলোচনা করে পরিশোধ করিবেন। আপনি নোটিশ গ্রহীত কর্তৃক বিগত ২৬ এপ্রিল প্রেস রিলিজে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সৃজনকৃত ও ভিত্তিহীন, যাহা আমার মোয়াক্কেল কর্তৃক অস্বীকৃতও বটে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার দ্বারা সৃষ্ট পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমার মোয়াক্কেল আশা পোশন করেন যে, ওই লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে বিগত ২৬ এপ্রিল বক্তব্য ভুল স্বীকার করে পুনরায় প্রেস রিলিজ করে আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিবেন এবং নোটিশ দাতা আর্থিকভাবে ব্যবসায় যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা আলোচনা করে পরিশোধ করিবেন। অন্যথায় আমার মোয়াক্কেল আপনার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন, সুনাম ক্ষুন্নের বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইস ধারা এবং বাংলাদেশ দণ্ড বিধির ৫০০/৪২০ ধারার অপরাধের কারণে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যার দায় দায়িত্ব আপনাকেই বহন করতে হবে।
এসআর