বগুড়ার শেরপুরে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক বাবা ও তাঁর তিন বছরের শিশুকন্যা রয়েছে।
সোমবার ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলা সোয়া দুইটায় উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ঢাকাগামী একটি বাস একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ওই মোটরসাইকেলের আরোহী ওই এলাকার শরিফুল ইসলাম (৩২) ও তাঁর মেয়ে সেজদা গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ওই বাবা-মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ঝুপুনিয়া সেতুর মোড়ে। মোটরসাইকেলে ওই ইউনিয়নের হিন্দু পানিসাড়া গ্রামের অলোক সরকার (২০), জয়ন্ত সরকার (২০) ও শুভ সরকার (১৯) তিন বন্ধু বেড়াতে যাচ্ছিলেন সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে। পথে ঝুপুনিয়া সেতুর মোড়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন আরোহী তিন বন্ধু। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক অলোক সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত জয়ন্ত সরকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অপর আহত শুভ সরকারের চিকিৎসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে।
তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মহিপুরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে। দুপুর সাড়ে ১২টায় এখানে বগুড়াগামী লেন থেকে একটি প্রাইভেট কার ঢাকাগামী লেনে ইউটার্ন নেওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী মো. লিখন (২৮) ও মো. জীবন (৩০) গুরুতর আহত হন। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল খালেক ও শেরপুর থানার এসআই রবিউল ইসলাম এসব দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
আরএন