ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গুলি ছুড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকাতেও। এতে দুই শিশুসহ চার জন প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা।
সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, কাতারের দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। গাজা সিটি ও বেইত লাহিয়ায় কমপক্ষে দুই শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে, জর্ডান উপত্যকাতেও গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তাছাড়া ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। এর মধ্যে দু'জন মারা গেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী ইসরায়েলি অধিকৃত জর্ডান উপত্যকা এলাকায় জর্ডান থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টারত আট জনকে গুলি করে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের আগে সন্দেহভাজনরা এমন ভাবে বাহিনীর দিকে এগিয়ে গিয়েছিল, যা তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। বাহিনী সন্দেহভাজনদের ওপর গুলি চালিয়ে জবাব দেয় ও আহতদের শনাক্ত করা হয়।
ইসরায়েলের চ্যানেল ফোরটিন জানিয়েছে, আহতরা অভিবাসী শ্রমিক। ভুক্তভোগীদের আঘাতের তীব্রতা সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজার ঘটনার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। একজন ফিলিস্তিনি কর্মী জানান, অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুসের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত দুমা গ্রামে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজায় যুদ্ধের সময় নারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংস করে ও যৌন সহিংসতাকে যুদ্ধ কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তাছাড়া দখলদার দেশটি গাজায় ত্রাণ সহায়তাও ঢুকতে দিচ্ছে না।
সূত্র: আল জাজিরা।
এমএ