দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থাকলেও প্রবাসীরা মননে লালন করেন দেশীয় সংস্কৃতি। ছয় ঋতুর মায়ায় পড়ে হাতড়ে বেড়ান শৈশবের স্মৃতি। বাঙালির কাছে বর্ষা তেমনই একটি ঋতু।
এই ঋতুর প্রেমে পড়া এক ঝাঁক প্রবাসী গত শনিবার (০৩ অগাস্ট) মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে গান, কবিতা, স্মৃতি কথন আর বর্ষা বন্দনায় কিছু সময়ের জন্য মেতে উঠেন। স্মৃতির কাব্যে রোমন্থন করেন ফেলে আসা অতীত আর বাংলাদেশ।
বাংলায় সবচেয়ে নন্দিত-বন্দিত ঋতু বর্ষা। কাব্যপ্রেমী বাঙালির আনন্দ বেদনার প্রিয় ঋতুও এটি। আষাঢ়-শ্রাবণ, বৃষ্টি-বর্ষা নিয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে অজস্র কবিতা, গান। মরুর দেশে প্রবাসীরা নিশিদিন খুঁজে বেড়ান এমনই স্মৃতির শৈশব, ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। দেশের যখন বৃষ্টি-বর্ষায় মৌসুম চলছে তখন মরুর দেশেও খানিক সময়ের জন্য বর্ষা বন্দনায় মেতে উঠেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। দেশটিতে বসবসারত বই পড়ুয়াদের সংগঠন আরবান রিডার্স শনিবার আয়োজন করে বর্ষা উৎসব।
মরুতে এখন গ্রীষ্মের প্রখর সময়। তাই আয়োজরা বেঁচে নেন শীতল ফার্ম হাউস। সন্ধ্যা ঘনালে উৎসবে অতিথিদের আনাগোনা বাড়ে। সহনীয় তাপমাত্রায় শুরু হয় মূল আয়োজন। বর্ষা নিয়ে লেখা কবিতা, গান আর স্মৃতি কথায় শৈশবে ফেরার সুযোগ পান উপস্থিত কয়েকশ প্রবাসী। হলুদ শাড়ি আর পাঞ্জাবি উৎসবে দেশীয় আবহ তৈরি হয়।
ভরপুর আয়োজন ছিল পিঠাপুলি, দেশীয় ফল আর হরেক রকম খাবারের। উৎসবস্থলে রান্নাবান্না আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করে।
আয়োজকরা জানান, বিভাজনের এই সময়ে এসেও চিরায়ত বাংলার সংস্কৃতি দেশে কিংবা বিদেশে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। সুন্দর বাংলাদেশ গঠনেও রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
দেশের বাইরে ঋতুভিত্তিক এমন আয়োজন প্রবাসীদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি প্রবাস প্রজন্মের কাছে বাংলার সংস্কৃতিকেও পৌঁছাতে পারে তার আপন রূপে।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা জুলফিকার হায়দার খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
সাকিয়া সুলতানা, রিজিওনাল ম্যানেজার বিমান দুবাই, নওশের আলী প্রমুখ।
এসআই/এমএ