মাদারীপুরে পৃথক দুটি স্থানে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নসিমন চালক নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার কালীবাড়ি মোড়ে যাত্রীবাহী বাস, নসিমন ও অ্যাম্বুলেন্সের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ইন্দ্রজিৎ ভদ্র (৪০) নামে এক নসিমন চালক নিহত হন এবং শুভ বিশ্বাস (২১) নামে অপর এক ব্যক্তি আহত হন। তারা দুজনই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে একইদিন দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ইন্দ্রজিৎ ও শুভ নসিমন নিয়ে রাজৈর বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কালীবাড়ি মোড় এলাকায় পৌঁছালে বরিশালগামী ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে নসিমনটিকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ধাক্কায় নসিমনটি ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে আঘাত হানে। এতে ইন্দ্রজিৎ ও শুভ গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন এবং শুভকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
একইদিন দুপুরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের দৌলতপুর এলাকায় গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাস ও একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুর্ঘটনার বিষয়ে মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরব আলী বলেন, "দুইজনকে আহত অবস্থায় রাজৈর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘাতক বাসটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।"
এক্সপ্রেসওয়ের দুর্ঘটনার বিষয়ে শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, "ঘটনাস্থল থেকে বাসচালক পালিয়ে গেছে। তবে ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এএইচ/আরএন