ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দেশটির রাজধানী সানায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সানার একটি অ্যাপার্টমেন্টে বোমাবর্ষণ করে। সেখানে বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি নিহত হন বলে জানিয়েছে ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যম আল-জুমহুরিয়া।
অপর সংবাদমাধ্যম এডেন আল-ঘাদ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি তার আরও কয়েকজন সঙ্গীসহ প্রাণ হারিয়েছেন।
গতকাল ইসরায়েলের হিব্রু ভাষার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, হুতি বিদ্রোহীদের সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্তত ১০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের প্রধানমন্ত্রীর ওপর আলাদাভাবে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে— এমনটাই জানিয়েছে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, হুতি বিদ্রোহীদের প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা হুতি নেতা আব্দুল মালেক আল-হুতির একটি ভাষণ শুনতে জড়ো হয়েছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জায়গায় হামলা চালানো হয়।
যদিও স্থানটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় সুরক্ষিত ছিল, তবুও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সেখানে হামলা চালাতে সক্ষম হয়। ওই হামলায় ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন, তা জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
২০১৫ সালে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে। এরপর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদি সৌদি আরবে পালিয়ে যান এবং হুতিদের প্রতিষ্ঠিত সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেন। তার পরই তার সমর্থনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে ব্যাপক হামলা চালায়। কিন্তু তাতেও হুতিদের দমন করা যায়নি। তারা এখনো সানার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। এই বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আহমেদ আল-রাহাভি।
এদিকে, গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বরতার জবাবে হুতি বিদ্রোহীরা নিয়মিত ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছিল। এরই মাঝে গতকাল তাদের প্রধানমন্ত্রীর ওপর ইসরায়েল হামলা চালায় এবং তাকে হত্যা করে।
আরএন