স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, 'এবারের পূজার আয়োজন খুবই ভালো। এখানে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়ই ছিল। '
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'নারায়ণগঞ্জে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের শংকা নেই। এই পূজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল মন্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার পূজা উৎসবমুখর হবে। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নাই। নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়ই ছিল। এ বছর সম্প্রীতি আরও ভালো হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'শারদীয় দুর্গাপূজা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটার পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সব ধর্ম মিলে যেন একসাথে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'পূজা কমিটির সাথে বৈঠক হয়েছিল সেখানে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পূজার শুরু থেকেই ২৪ ঘণ্টায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের সরকারি বাহিনী ছাড়াও তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আনসার যুক্ত হবে। এবারের পূজা অনেক উৎসবমুখর হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে।'
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'দেশে এ বছর ৩৩ হাজার পূজামন্ডপ রয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে পূজা উদযাপন কমিটি সাত জন করে ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দেবে, আনসার সদস্য থাকবে আট জন করে। এছাড়াও পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।'
তিনি বলেন, 'নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পূজামন্ডপে ৩২ লক্ষ টাকা এবং প্রতিটি পূজামন্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। পূজা যেন ভালো ভাবে উদযাপন করতে পারে।'
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, র্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা প্রবির কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসএস/এমএ