কেন্দুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় কলেজছাত্রের মৃত্যু, থানায় মামলা |
![]() নিহত আবুল কালাম কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। সে কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম সরকারি হালটে (গ্রামীণ সরকারি সড়ক) মাসকালাই রোপণ করে। গত শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশী সিদ্দিক মিয়ার ছেলে হারেছ উদ্দিন ধান মাড়াইয়ের জন্য ওই সড়ক দিয়ে ধান ভাঙ্গার (ইঞ্জিন চালিত মেশিন) নিতে চাইলে মাসকালাই রোপণকারী আবুল কালাম বাধা দেয়। এতে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে আবুল কালাম তার ভাই বিল্লাল মিয়া ও হারেছ মিয়া সহ চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কালামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কালাম রোববার (৩০নভেম্বর) মারা যান। এদিকে মৃত্যুর খবর গ্রামে আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজি শাহ নেওয়াজ সোমবার জানান, এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় নিহতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামি ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এইচকে/এইচএস |