টানা দ্বিতীয় জয় পেতে চট্টগ্রামের চাই ৮৭ রান |
![]() বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের তৃতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনাকে মাত্র ৮৬ রানে আটকে রাখল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিতে মাত্র ৮৭ রান করতে হবে চট্টগ্রামকে। এরাগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৮৮ রানে অলআউট করে জয় পায় চট্টগ্রাম। তৃতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত করেন নাহিদুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামরা। তাদের স্পিন ঘূর্ণির সঙ্গে মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিংয়ে ৮৬ রানেই থেমে গেছে খুলনার ইনিংস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় এক চমক দেয় খুলনা। আগের দুই ম্যাচে এনামুল হক বিজয় এবং ইমরুল কায়েস ওপেনিংয়ে নামলেও, এই ম্যাচে বিজয়ের সঙ্গে নেমে যান সাকিব আল হাসান। তবে এতে খুলনার ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি, ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে মুক্তি পায়নি তারা, ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি সাকিবও। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন ৬ বলে ৬ রান করা বিজয়। ৩ নম্বরে নামেন ইমরুল কায়েস। অপরপ্রান্তে দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। আউট হয়ে যান ইনিংসের পঞ্চম ওভারে, করতে পারেন ৭ বলে মাত্র ৩ রান। আগের দুই ম্যাচের মতোই বড় শট খেলতে গিয়ে নাহিদুল ইসলামের বোলিংয়ের মিড অন ও লং অনের মাঝামাঝি জায়গায় মোসাদ্দেক সৈকতের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। তবে আউট হওয়ার আগেই ডোয়াইন ব্রাভো ও আন্দ্রে রাসেলের পর বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের অনন্য ডাবল পূরণ করেন সাকিব। সাকিব ফিরে যাওয়ার পর সে ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২ বলে ১)। নাহিদুলের সোজা ডেলিভারি ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে লেগবিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন তিনি। এরপর আশা জাগান ইমরুল কায়েস। কিন্তু তিনি ফিরে যান ২৬ বলে ২১ রান, জহুরুল অমি আউট হন ১৪ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে। প্রথম দুই ম্যাচে খুলনার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন আরিফুল হক। এদিনও তিনি হাল ধরেছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি সফল হননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩০ বলে করতে পেরেছেন মাত্র ১৫ রান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন আরিফুল। পরে আলআমিনের উইকেটও নেন মোস্তাফিজ। চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট নেন নাহিদুল। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের ঝুলিতেও যায় ২টি উইকেট। তবে তাদের ছাড়িয়ে গেছেন মোস্তাফিজ, ৩.৪ ওভারের স্পেলে ডট বল করেন ১৭টি, মাত্র ৫ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। -এমএ |