ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত গ্রামে বঙ্গবন্ধুর জন্মোৎসব শুরু |
![]() উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নেরর গ্রামে বেসরকারি সংস্থা ওসাকা পরিচালিত 'চর নিকেতন কাব্যমঞ্চে' শুক্রবার বিকেলে তিনদিনের এই জন্মোৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় কবি নুরুল হুদা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। কবি মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান আক্তারের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি আসলাম সানী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সম্মানিত অতিথি পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, শিশু সাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া, ঈশ্বরদী উপজেলার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট জাহিদ নেওয়াজ, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান। প্রধান অতিথি বক্তব্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষে কাউকে গৃহহীন রাখা হবে না। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে আমরা শিক্ষায় শতভাগ সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে একসময় এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য বিদেশের কাছে ধর্ণা দিত কিন্ত বাংলাদেশে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে পদ্মাসেতু তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন কর্মসূচি ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মান করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশে সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু সেই সোনার বাংলায় বিএনপি-জামাত জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছে। তারা একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জাতীয় নেতা-নেত্রীদের হত্যা করেছে ও হত্যার পরিকল্পনা করেছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নস্যাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করতে হবে। এর আগে জন্মোৎসব উপলক্ষে ওসাকা ও আয়োজকদের পক্ষ থেকে চরগড়গড়ি গ্রামে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কবি সাহিত্যিক লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আগামী ২৯ নভেম্বর নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে তিনদিনের বঙ্গবন্ধু জন্মোৎসব শেষ হবে। কেএমএইচ/এসআর |